ডেস্ক রিপোর্টঃ: শ্যামনগর উপজেলা সদরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটক সংলগ্ন ডিজি ল্যাব কর্তৃক প্রসূতি মায়ের রক্তের গ্রুপ ভুল প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৩০ মার্চ রাত ২টার দিকে ল্যাব কর্তৃপক্ষ আঞ্জুয়ারা বেগম নামে এক প্রসূতি মায়ের রক্তের গ্রুপ বি-পজেটিভ এর পরিবর্তে এ-পজিটিভ প্রদান করা হয়। এতে ওই মায়ের শরীরে রক্ত দেওয়ার সাথে সাথে গুরত্বর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। ওই রাতে শ্যামনগর পশুহাসপাতাল সংলগ্ন মর্ডান ক্লিনিকে তার দেহে রক্ত দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রোগীর স্বজন বিল্লাল হোসেন বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রমতে, গত ৩০ মার্চ গভির রাতে প্রসব বেদনা উঠলে তাৎক্ষনিক শ্যামনগর মর্ডান ক্লিনিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করলে রোগীর স্বজনরা ডিজি ল্যাবে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করান। ল্যাব কর্তৃপক্ষ এ-পজিটিভ রিপোর্ট প্রদান করেন। কিন্তু এ-পজিটিভ রক্ত ওই প্রসূতি মায়ের দেহে প্রবেশ করা মাত্র গুরত্বর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষনিক রক্ত দেওয়া বন্ধ করে দেন এবং পুনরায় রক্ত পরীক্ষার জন্য রোগীর স্বজনদের বলেন। সেমতে পুনরায় একই ল্যাবে গত ০২ এপ্রিল ওই প্রসূতি মায়ের রক্ত পরীক্ষা করা হয় এবং রক্তের গ্রুপ বি-পজিটিভ প্রদান করা হয়।
শ্যামনগর মর্ডান ক্লিনিকের স্বত্ত্বাধিকারী ডাঃ তপন কুমার বলেন, ডিজি ল্যাব হইতে রক্তের গ্রুপ ভুল প্রদান করা হয়েছে। ডিজি ল্যাবের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ মিজানুর রহমান বিষয়টি এড়িয়ে বলেন, রোগী কর্তৃপক্ষ আমাকে হেনস্তা করার জন্য একান্ড করেছে। তবে, তার ল্যাবের লাইসেন্স নাই স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।
বাংলাদেশ ক্লিনিক ও প্যাথলজি মালিক সমিতির শ্যামনগর শাখার সভাপতি এস, এম, জিয়াউল হক পলাশ বলেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য শ্যামনগর উপজেলা ব্যাপী ২০/২৫টি প্যাথলজিক্যাল ল্যাব আছে। কিন্তু অধিকাংশ ল্যাবের বৈধতা নাই। এ সুযোগে ল্যাব কর্তৃপক্ষ ইচ্ছামত রোগীর রিপোর্ট প্রদান করছেন। এতে, একদিকে অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতি হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়তে হচ্ছে মানুষের।