মোড়ল বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ
শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর ইউনিয়নের জবর দখলে থাকা দুটি খালের বাঁধ কেটে দিয়ে উন্মুক্ত করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ফলে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে জলাবদ্ধতার সমস্যার নিরসন হবে, উপকৃত হবে নুরনগর ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের হাজারো মানুষ। বদ্ধ খাল উন্মুক্ত করায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
সোমবার দুপুরে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ জামান সাঈদ এর উপস্থিতিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাতের নেতৃত্বে ওই খালের বাঁধ কেটে দেন। এতে নরনগর ও হরিনা গাড়ি বিলের ১০ বছরের জলাবদ্ধতা দূর হবে বলে আশা করছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। একই সঙ্গে দেড় হাজার হেক্টর জমি চাষাবাদের আওতায় আসবে।
নুরনগরের বাসিন্দা মনির আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রায় দুই কিলোমিটার বাইনতলী খালটি অবৈধভাবে দখলে আছে। যাঁরা খালটি দখলে রেখেছিলেন, তাঁরা খালের বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করতেন। এতে এলাকার জমির পানি খালে নামার কোনো ব্যবস্থা ছিল না, অন্যদিকে নদীর জোয়ার-ভাটার পানি জমিতে যেতে পারত না। খালের পাশের সাধারণ মানুষ খালের পাশে যেতে পারত না।
এ ছাড়া খালটি উন্মুক্ত না থাকলে স্থানীয় গরিব মানুষ এখান থেকে মাছ শিকার করে তাদের আমিষের চাহিদা পূরণ করতে পারত না।
স্থানীয় কৃষক আব্দুল বলেন, এখন এই সমস্যা থাকবে না। আমরা এটার জন্য অনেকবার জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েছি। উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। স্থায়ী সমাধান হওয়ায় আমরা এখন আনন্দিত।
নুরনগর ইউনিয়নের তহশীলদার রনজিত কুমার মন্ডল জানান খাল গুলির দুই পাশে ৫ গ্রামের অন্তত ৩ হাজার হেক্টর জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।খালটি উন্মুক্ত করায় মানুষ উপকৃত হবে। নানাবিধ কাজে এই খালের পানি ব্যবহার করতে পারবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আব্দুল্লাহ আল রিফাত জানান, তিনি সম্প্রতি এই উপজেলায় যোগদান করেছেন। যোগদানের পর থেকে খাল দখলের অনেক অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। তার ধারাবাহিকতায় শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান সাঈদ এবং নুরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বখতিয়ার আহমেদের উপস্থিতিতে দুইটি খাল উন্মুক্ত করা হলো।
শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ জামান সাঈদ জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল অবৈধ দখল বাজদের হাত থেকে খাল দুটি পুনরুদ্ধার করে জনগণের মাঝে ফিরিয়ে দেয়া।
আমি আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষায় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং এলাকার সর্বস্তরের জনগণকে সাথে নিয়ে খাল দুটি উন্মুক্ত করেছি। এই খালে এখন সর্বস্তরের মানুষের প্রবেশাধিকার থাকবে।